মাছের কারি
মাছের কারি
মাছের কারি তৈরির জন্য সাধারণত মাছের মাংস ব্যবহার করা হয়, যেমন রুই, কাতলে, ইলিশ, ম্রিগেল ইত্যাদি। মাংস টুকরোগুলি পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হয়। এরপর মাংসটিকে মটরশুঁটি অথবা চকা ছেঁকে টুকরো করে কাটতে হয়।
মাছের কারি হলো একটি প্রসিদ্ধ ও সুস্বাদু বাঙালি খাদ্য পদার্থ। এটি মূলত মাছের টুকরোগুলির সাথে বেশ কিছু স্পাইস, দই বা তরকারি, লবণ ও আদা-রসুন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। মাছের কারি বেশ পপুলার একটি মাছ ডিশ হিসেবে বিখ্যাত এবং পৌষ মাসে বিশেষ ভাবে খাওয়া হয়।
এরপরে মাছের টুকরোগুলি মশলা দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হয়। সাধারণত পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা, জিরা, হলুদ, ধনে পাতা ও জীরে গুড়া ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ধনে-পুদিনা পাতা, কাঁচা মরিচ ও মেথি পাতা ব্যবহার করা হয় মাছের কারি তৈরির জন্য।
এরপর একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে মশলা দিয়ে ভালোভাবে ভাজতে হয়। মশলা ভাজা হয়ে গেলে এখন তাতে দই বা তরকারি দিয়ে দিতে হয়। দই দিলে মাছের মধ্যে তরকারির স্বাদ যায়। তরকারি না দেওয়ার পছন্দের মতো দই ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপরে প্রয়োজনীয় লবণ ও চিনি যুক্ত করে দিতে হয়। চিনি ব্যবহার করা মাংসে মসলা এবং তরকারির স্বাদ বেশি ভালো লাগাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিছু জিরার গুড়া এবং বিনিস্ত জিরা ছড়ানো হয়ে যেতে পারে মাছের কারি তৈরির সময়।
মাছের কারি সাধারণত ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়, তবে কিছু লোক এটি রুটি বা নানের সাথেও খান মাছের কারি। আপনি এই প্রিপারেশনের রেসিপিটি মেনুতে সংযোজন করতে পারেন। বিভিন্ন প্রকারের মাছের কারি পাওয়া যায় বাঙালি রেস্টুরেন্টেস বা নিয়মিত খাবার বাজারগুলিতে। এছাড়াও বিভিন্ন মাছের কারির রেসিপি ইন্টারনেটে অনলাইনে পাওয়া যায়, যাতে আপনি বিভিন্ন মাছের কারি প্রস্তুত করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই